ইকুয়েডরের আমাজন অঞ্চলে এক সশস্ত্র সংঘর্ষে ১১ সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। শুক্রবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, একটি সংগঠিত অপরাধী গোষ্ঠীর সঙ্গে গুলিবিনিময়ের সময় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আরও একজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছেন এবং তাকে হেলিকপ্টারে করে রাজধানী কুইটোতে নেওয়া হয়েছে।
এই হামলাকে ইকুয়েডর সরকারের পক্ষ থেকে "রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত" হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
ইকুয়েডর সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সংগঠিত অপরাধ, মাদক পাচারকারী চক্র এবং মিলিশিয়া গোষ্ঠীর সহিংসতায় বিপর্যস্ত। এ বছর জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট দানিয়েল নোবোয়া দেশে "অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র সংঘাত" ঘোষণা করেন এবং সামরিক বাহিনীকে সংঘবদ্ধ অপরাধ নির্মূলে বিশেষ ক্ষমতা দেন।
“আমাদের সেনারা দেশ রক্ষার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন। এই আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না। আমরা জবাব দেব,”—বলা হয় বিবৃতিতে।
এই ঘটনায় স্পষ্ট, আমাজন অঞ্চল এখন শুধু প্রাকৃতিক বনভূমিই নয়, বরং অপরাধ চক্রের ঘাঁটিতেও পরিণত হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইকুয়েডরকে এখন ‘নতুন মাদকযুদ্ধের ময়দান’ হিসেবে দেখা যেতে পারে।